13

জাতিসংঘ মহাসচিবকে প্রদত্ত আগাশাহীর পত্র

 

শিরোনাম সূত্র তারিখ
জাতিসংঘ মহাসচিবকে প্রদত্ত জাতিসংঘে নিযুক্তপাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধির পত্র জাতিসংঘ ডকুমেন্টস ৯ ডিসেম্বর, ১৯৭১

জাতিসংঘ মহাসচিবকে প্রদত্ত জাতিসংঘে নিযুক্তপাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধির পত্র

A 8  7 S 1,  ডিসেম্বর ৯, ১৯৭১

আমার সরকারের নির্দেশনা অনুসারে, আমি এই বিবৃতি প্রদানের সুযোগ পাচ্ছি যে যদিও ৭ই ডিসেম্বর জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহিত রেজোল্যুশন ২৭৯৩ (৬) পাকিস্তানে ভারতের আক্রমণের (যা ভারত স্বীকার করেছে) নোট গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়েছে তবুও পাকিস্তান সরকার তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি ও রেজোল্যুশনে উল্লেখ করা সৈন্যদল অপসারণের প্রস্তাব গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যেহেতু এই রেজোল্যুশনে প্রত্যেক দলকে তার সীমান্ত সংলগ্ন শহরের পাশ থেকে সৈন্য অপসারণের কথা উল্লেখ রয়েছে, এবং তাই রক্তপাত থামাতে, পাকিস্তান ঐ সময়ে এটির অপ্রাচুর্যতা উপেক্ষা করতে ইচ্ছুক। রেজোল্যুশনের পঞ্চম ও ষষ্ঠ প্রারম্ভিক অনুচ্ছেদে পাকিস্তান যথাযথ গুরুত্ব আরোপ করে, যা, পাশাপাশি আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা জোরদারকরণ ঘোষণা অধ্যায়ের বিধানগুলো পুনর্ব্যক্ত করে, বিশেষ করে আর্টিকেল দুই, অনুচ্ছেদ ৪, প্রত্যাহার অনুচ্ছেদ ৪, ৫ ও ৬ যা উল্লেখ করেঃ

সাধারণ অধিবেশন।

*                              *                              *                              *

৪. বিধিসম্মতভাবে পুনর্নিশ্চিত করে যে রাষ্ট্রসমূহকে অন্যান্য রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও বৈদেশিক সরাসরি বা গোপনীয়ভাবে হস্তক্ষেপ, বলপ্রয়োগ বা অবরোধ, বিশেষ করে শক্তি ব্যবহার বা হুমকি মুক্ত ভাবে জনগণের নিজেদের ভাগ্য নির্ধারনের অধিকারকে অবসশ্যই সম্মান করতে হবে, এবং আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে রাষ্ট্র বা দেশের জাতীয় ঐক্য ও ভূমির অখন্ডতা বিনাশের যেকোন প্রচেষ্টা থেকে বিরত থাকতে হবে;

৫. বিধিসম্মতভাবে পুনর্নিশ্চিত করে যে প্রত্যেক রাষ্ট্রের দ্বায়িত্ব হল যে অন্যান্য রাষ্ট্রের রাজনোইতিক স্বাধীনতা ও ভূমিগত অখন্ডতার বিরুদ্ধে সৈন্য ব্যবহারের হুমকি বা ব্যবহার থেকে বিরত থাকা এবং সনদের বিধান লঙ্ঘন করে শক্তি ব্যবহারের ফলস্বরুপ একটি রাষ্ট্রের অঞ্চল সামরিক দখলের বস্তু হবে না, যে শক্তি ব্যবহারের হুমকি বা ব্যবহারের ফল থেকে ভূমি দখল বৈধরুপে স্বীকৃত হবে না এবং অন্যান্য রাষ্ট্রে গৃহবিবাদ ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড আয়োজন, প্ররোচনা প্রদান, সহায়তা দান ও অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকা প্রত্যেকটি রাষ্ট্রের দ্বায়িত্ব।

৬.  সদস্য রাষ্ট্রসমূহকে প্রেরণা প্রদান করে যেকোন বিরোধ বা অবস্থা যার ধারাবাহিকতা আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তাকে বিপন্ন করতে পারে সেসবের কেবলমাত্র শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য আপস-আলোচনা, অনুসন্ধান, মধ্যস্থতা, তুষ্টিসাধন, সালিসি, বিচারিক মীমাংসা, আঞ্চলিক সংস্থা গঠন বা আয়োজন, জাতিসংঘ মহাসচিবসহ অন্যান্যদের মাধ্যমে মধ্যস্ততা, অথবা তাদের নিজেদের পছন্দের অন্য শান্তিপূর্ণ মাধ্যমসহ সনদে উল্লেখ করা মাধ্যম ও পদ্ধতির পূর্ণ ব্যবহার ও উন্নত বাস্তবায়ন অনুসন্ধান করতে, এটা বুঝা হয় যে এমন বিরোধ বা অবস্থা মোকাবেলায় নিরাপত্তা পরিষদের উচিত আইনী বিরোধসমূহ সাধারণ আইনস্বরুপ দলগুলো কর্তৃক আদালত সংবিধানের বিধানসমূহ অনুসারে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে অর্পণের কথা বিবেচনায় নেওয়া।

এটি পাকিস্তান সরকারের আশা যে এটির সদস্যদের অভূতপূর্ব সংখ্যাগরিষ্ঠতায় নির্ভুল সমর্থনের দ্বারা একটি ঘোষনায় শক্তিশালী করার মাধ্যমে, তাতক্ষনিকভাবে যুদ্ধবিগ্রহ অবসান ব্যবস্থাপনা ও নিশ্চিতকরন, সশস্ত্র সৈন্য অপসারণ ও যুদ্ধবিরতি ও সৈন্য অপসারণ তত্ত্বাবধান করতে জাতিসংঘ পর্যবেক্ষক প্রেরণ করতে জাতিসংঘ এখন বাস্তব ও বাধ্যবাধকতাপূর্ণ ব্যবস্থা গ্রহনের সিদ্ধান্ত নেবে।

যদি এই চিঠিটি প্রমাণপত্ররুপে সাধারণ অধিবেশন ও নিরাপত্তা পরিষদে অবিলম্বে প্রচার করা হয় তবে আমি কৃতজ্ঞ হব।

(Sd.) এ. শাহি