13

বাংলাদেশের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার ছাড়া সংকটের অবসান নাইঃ রোজেনথল

 

শিরোনাম সুত্র তারিখ
বাংলার জনগণকে আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার না দেওয়া পর্যন্ত সংকট অবসানের সুযোগ নাইঃ

রোজেনথল

কংগ্রেসের কার্যবিবরনী ১৪ অক্টোবর, ১৯৭১

 

কংগ্রেশনাল রেকর্ড- মন্তব্যের সম্প্রসারন

পাকিস্তানের অবস্থান প্রতিবেদন

প্রতিনিধি পরিষদে

 

জনাব রোজেনথল। মাননীয় স্পিকার, পশ্চিম পাকিস্তানিদের পূর্ব পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তাদের হিংস্র আক্রমনের ছয় মাসেরও বেশি সময় অতিবাহিত হয়েছে। ইতমধ্যে আমেরিকার জনগণ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বর্ননা দেওয়া ধারাবাহিক রিপোর্টগুলোতে আশ্বস্ত। সেই ২৫শে মার্চ থেকে ধর্ষন, নির্যাতন, লুটপাট, হত্যা, দূর্ভিক্ষ এবং কৌশল্গতভাবে গ্রামের বাড়িঘর  পোড়ানো অব্যাহত আছে।

 

কোন শেষ দেখা যাচ্ছে না। সীমানা পেড়িয়ে পালিয়ে আসা শরনার্থীদের সংখ্যা এখন ৯০ লাখে দাঁড়িয়েছে এবং ভারতের ত্রান কর্মীরা নিজেদেরকে আরো অতিরিক্ত ৩০ লক্ষ থেকে ১ কোটি দশ লক্ষ শরনার্থীর জন্য প্রস্তুত করছে যারা বছর শেষ হওয়ার আগেই আসবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। সবদিক থেকেই এটা আধুনিক ইতিহাসে মানব সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় দলগত প্রস্থান।

 

গত শীতে যে প্রাকৃতিক দূর্যোগে অর্ধ কোটি লোক মারা গিয়েছিল তার তুলনায় বর্তমান ব্যাপক হত্যাকান্ড দ্বিগুন প্রাণ কেড়ে নিয়েছে এবং এটা সম্পূর্ণরূপে মানব সৃষ্ট।

 

পূর্ব বাংলার নেতা, শেখ মুজিবুর রহমান- যার দল ১৯৭০ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ঝুঁকি নিয়ে  ৯৫ শতাংশ আসন পায়-বর্তমানে গোপনে পশ্চিমাঞ্চলের কারাগারে বন্দী এবং সামরিক সরকার কর্তৃক তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। যতক্ষন না তিনি মুক্তি পাচ্ছেন এবং যতক্ষন না পূর্ব বাংলা বাংলাদেশের জনগণকে আত্মনির্ধারন করতে দেওয়া হবে, ততক্ষন এই দূর্ভোগ সমাপ্তির কোন আশা থাকবে না।

 

যুক্তরাষ্ট্র সরকার বলছে যে, পাকিস্তানের বর্তমান সমস্যাগুলো একটি “অভ্যন্তরীন” ব্যাপার এবং মার্কিন নীতির লক্ষ্য হলো একটি সর্বনাশা পরিস্থিতিকে প্রতিহত করতে পাকিস্তান সরকারের ওপর “চাপ” বৃদ্ধি করা। যদিও এই নিরপেক্ষতার ছদ্মবেশের আড়ালে সম্পূর্ণ অন্য একটি মিথ্যা গল্প লুকিয়ে আছেঃ মার্কিন অস্ত্র, সামরিক সরঞ্জাম ও অর্থনৈতিক সহায়তার সরবরাহ জেনারেল ইয়াহিয়ার দমন কর্মসূচিকে প্রধান আর্থিক সহায়তা প্রদান করে অব্যাহত আছে। কিছু উৎসের হিসেবে বাংলায় পশ্চিম পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ব্যবহৃত অস্ত্রের প্রায় ৮০শতাংশ আমেরিকার তৈরী।

 

৪ঠা আগস্ট তাঁর সংবাদ সম্মেলনে, প্রেসিডেন্ট নিক্সন তার প্রশাসনের নীতি একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতির মাধ্যমে পরিষ্কার করেনঃ

 

আমরা মনে করি যে পাকিস্তানে আমাদের অর্থনৈতিক সহায়তা অব্যাহত রেখে আমরা আমাদের সবচেয়ে গঠনমূলক ভুমিকাটি পালন করতে পারি………আমরা পাকিস্তান সরকারের ওপর জনগণের চাপের সাথে জড়াব না। তার ফলাফল হবে একেবারই বিপরীতমুখী। এই বিষয়গুলো আমরা শুধুমাত্র গোপন মাধ্যমে আলোচনা করব।

.

আমাদের সমাজ শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতিতে মেয়েদের স্যাক্রিফাইসের বিষয়টা এমনভাবে উঠে এসেছে যে ছোট বেলা থেকে মেয়েদের স্যাক্রিফাইসের বিষয়গুলো শুনতে শুনতে পড়তে পড়তে এখন মনে হয় যে ছেলেরা আসলে কিছুই না, পুরুষদের কোন স্যক্রিফাইস নাই। আমরা মায়েদের নানান স্যাক্রিফাইসের কথা গল্প সাহিত্য নাটকে দেখি, মায়েদের স্যাক্রিফাইস মহিমামন্ডিত করে ফুটিয়ে তুলি কিন্তু বাবাদের স্যাক্রিফাইসগুলো কতখানি আলো পায়। কিংবা নারীদের সংসারে স্যাক্রিফাইসের কথা আমরা সব সময় পড়ি কিন্তু পুরুষদের স্যাক্রিফাইসের কথা কতখানি লেখা হয়? আমি মায়েদের বা নারীদের স্যাক্রিফাইস অস্বীকার করছি না। শুধু এটুকুই মনে প্রশ্ন জাগে পুরুষদের স্যাক্রিফাইসগুলো কি সমাজের চোখে পড়ে না। GMB Akash এর পেইজে এক বাবার ছবিতে তার কাহিনি পড়েছিলাম, যে নিদারুন কষ্ট করে নিজের সব চাওয়া পাওয়া ত্যাগ করে প্রতিদিন হাড় খাটুনি করে নিজের পরিবারের জন্য তিনবেলা ব্যবস্থা করেও তাকে প্রতি রাতে নিজের স্ত্রী মেয়েদের কাছ থেকে অপমান সহ্য করতে হত তারপরও প্রতিদিন সকালে সে বের হয়ে যায় এই পরিবারের সুখের জন্য হাড় ভাঙ্গা খাটুনি খাটতে। সেই পোস্টটা মনে হয় আমার ওয়াল খুজলে এখনো পাওয়া যাবে। যাকগে!সেই পুরনো প্রশ্নে ফিরে যাই।

 

এই সমাজে নারীদের স্যাক্রিফাইসে যে রোমান্টিকতা খুঁজে পায়, পুরুষদের স্যাক্রিফাইসে তা অনুপস্থিত কেন? পুরুষদের কি কোন ত্যাগ নেই নাকি পুরুষদের আবেগ থাকে না সেটা সমাজ নির্ধারণ করে দিয়েছে? এত এত নারীবাদী, পুরুষবাদী নেই কেনো?

 

“Accept the things you cannot change. Have the courage to change the things you can change. And have the wisdom to know the difference.”

 

 

 

দেখতে দেখতে আজ এই দিনে দুবছর পূর্ণ করলো আমাদের প্রানের #আলোকিত_পাঠশালা!

এই দুবছরের প্রাপ্তি গুলোর দিকে তাকালে হয়তো আহামরি কিছুই আমরা করি নি আবার ছোট ছোট অনেক কিছুই অর্জন করে নিয়েছি। যেসব কলোনির বাচ্চারা সারাদিন খেলাধূলা মারামারি গালিগালাজে মেতে থাকত তাদের মাঝে শিক্ষার প্রতি আগ্রহ জাগিয়ে তোলা, নিয়ম শৃঙ্খলা আর ভাল ব্যবহারের বীজ তাদের মাঝে বপন করে দেওয়াটা একটা চ্যালেঞ্জ ছিল এবং আমরা দাবি করতেই পারি সে চ্যালেঞ্জ আমরা অনেকটা পূরণ করতে পেরেছি।

আমাদের আলোকিত পাঠশালার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল খোলা উঠোন থেকে স্কুলকে স্থায়ী রুমে স্থানান্তর করা। প্রায় এক বছর আমরা বাচ্চাদের অন্যের বাসার উঠোনে পড়িয়েছি, রোদ বৃষ্টি সহ্য করে। এক বছরের সংগ্রামে আমরা স্কুলের জন্য দুটি রুম ভাড়া করতে পারি। বাচ্চাদের ক্লাস নির্জঞ্জাট আর নিয়মিত হয়। এছাড়াও আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন ছিল শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও গুটিকয়েক কাছের ডোনারদের চাঁদায় ও সাহায্যে এই দুবছর ধরে আলোকিত পাঠশালা নিজেরাই চালিয়ে আনা। শুনতে অবাক শুনালেও প্রতিমাসে পাঠশালার সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য মাসে ছয় থেকে সাত হাজার টাকা খরচ করা সহজ কোন ব্যাপার ছিল না। যেখানে আমরা বেশিরভাগই ছাত্র ও ছোটখাটো চাকুরীজীবী।

এর মাঝে এই আলোকিত পাঠশালার বাচ্চাদের নিয়ে আমাদের স্বপ্ন আরো বিস্তৃত হয়ে আরো ডালপালা ছড়িয়ে। সেই স্বপ্নগুলো এখন আমাদের একার পক্ষে পূরণ করা সম্ভব না। তাই এই স্বপ্ন পূরণে আজ আপনাদের সাহায্য চাইছি।

যেহেতু এরকম একটি ফ্রি স্কুল চালানোর সবচেয়ে বড় বাধা হচ্ছে অনিয়মিত ফান্ড তাই আমাদের ফান্ড শক্তিশালীকরণে আপনি বাড়িয়ে দিতে পারেন আপনার সাহায্যের হাত।

 

আমাদের আলোকিত পাঠশালায় এখন মোট ৪২ জন ছাত্র-ছাত্রী পড়ে। ক্লাস ওয়ান আর শিশু শ্রেনী এই দুভাগে ভাগ করে বাচ্চাদের পড়ানো হয়। আপনি মাসিক ৫০০ টাকা চাঁদা দিয়ে আমাদের পাঠশালার যেকোন বাচ্চাকে Sponsor করতে পারেন। ৫০০ টাকা মাসিক হিসেবে বারো মাসে ছয় হাজার অর্থ্যাৎ বাৎসরিক ৬০০০/= টাকা চাঁদা দেওয়ার মাধ্যমে আপনি একটি শিশুর সারা বছরের শিক্ষার ভার নিয়ে নিলেন। এই চাঁদার টাকায় আমাদের আলোকিত পাঠশালার শিশুটি পাবে-

ফ্রি বই খাতা/ কলমসহ সকল প্রকার শিক্ষা সামগ্রী (অলরেডি এটা তাদের ফ্রি দেওয়া হয়)

বাচ্চাদের স্কুলের পোশাক ও জুতো।

ভলান্টিয়ারের পাশাপাশি নিয়মিত পাঠদানের জন্য স্থায়ী শিক্ষক। (আমাদের স্বেচ্ছাসেবীরা নিঃস্বার্থভাবে দুবছর ধরে নিজের ভাড়ার টাকা আর সময় ব্যায় করে বাচ্চাদের প্রতিদিন দুঘন্টা করে পড়িয়ে যাচ্ছেন। আমাদের ইচ্ছা আমাদের ফান্ড বড় হলে বাচ্চাদের জন্য আমরা আগ্রহী উপযুক্ত শিক্ষক রাখব, যারা দক্ষ ও পেশাদারী মনোভাব নিয়ে ক্লাস নিবেন। আমরা চাই ফ্রি স্কুল হলেও যেন এখানের বাচ্চারা প্রতিটি ক্ষেত্রে যেকোন প্রকার সরকারী/ বেসরকারী স্কুলের সুবিধাটুকু পাক)

প্রতি তিন মাসের ব্যবধানে মেডিক্যাল চেকআপ।

প্রতি সপ্তাহে একবার স্বাস্থ্যকর খাবার।

স্কুলে একটি স্বতন্ত্র পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করা যাতে বাচ্চারা পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি বাইরে বই থেকে জ্ঞান আহরণ করতে পারে এবং তাদের মাঝে বই পড়া অভ্যাস গড়ে উঠে।

বছরে একবার তাদের পার্ক বা কোন বিনোদন কেন্দ্রে ঘুরিয়ে নিয়ে আসা।

প্রতি শীতে বাচ্চাদের শীতের পোশাকের ব্যবস্থা করা। (অলরেডি এই শীতে আমরা বাচ্চাদের হাতে শীতের কম্বল তুলে দিয়েছি)

আমাদের এই লিস্টে প্রতিনিয়ত নতুন কিছু যুক্ত হচ্ছে কারণ আমাদের এই সুবিধাবঞ্চিত বাচ্চাদের নিয়ে আমাদের স্বপ্ন অনেক বড়। এই স্বপ্ন পূরনণ অনেক ক্ষেত্রে আমাদের পক্ষে সম্ভব না আর এখানেই আপনাদের সাহায্যের বড় প্রয়োজন।

 

দুবছরের এই নতুন পথচলায় আপনিও শামিল হতে পারেন। সশরীরে আমাদের স্কুলে এসে কিংবা আমাদের পেইজে মেসেজ দিয়ে বা আমাদের ফোন দিয়ে আপনি আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আমাদের সাথে যোগাযোগের ঠিকানা-

আলোকিত পাঠশালা ফাউন্ডেশন,

ছরারপার, টিবি গেইট (মডেল হাইস্কুল ও টিচার্স ট্রেনিং এর রাস্তা দিয়ে ভেতরে ব্রীজ পার হয়ে বাজারটা)শাহী ঈদগাহ, সিলেট।

ফোন –

মুহম্মদ আবু সালেহ (অর্থ সম্পাদক) – ০১৭১০১৮৬০২৬

নিশাত শাহরিয়ার (সহাকারী সম্পাদক) -০১৭৩১২৫৫৩০৮

 

আপনার একটুখানি সাহায্য বদলে দিতে পারে আলোকিত পাঠশালার শিশুদের জীবন।

 

মুখে যাই বলি না কেনো স্কুল নিয়ে কেয়ার করি তাই অণ্য কেউ না দৌড়ালেও নিজে দোউড়াই। গত ১ মাসে আমি নিজে ব্যাক্তিগত ভাবে কয়েকজনের সাথে কথা বলেছি ফান্ডিং নিয়ে। এখন তারা বলেছেন সাহায্য করবেন আমাদের কিন্তু সব স্ট্রাকচার কমিটি নতুন করে করতে হবে যদি নতুন করে শুরু করতে চাই, তাই তারা সবার সাথে বসতে চান। সবাই রাজি থাকলে তাদের সাথে কথা বলে আমি ডেট ঠিক করতে পারি।

 

আর শবনমের অই স্ট্যাটসে আমি ছিলাম না তাই কিছু বলতে পারি নাই। আমার কাছ থেকে তথ্য নিয়ে ফাহাদ জানাইছে যা আমার মনে হয় সবাই দেখছেন। সেপ্টেম্বর এর পর থেকে যা ক্লাস হইছে আপার দুই মেয়ে করাইছে এমনকি বাসা পাল্টানোর পর আমি গিয়ে যা আর তাদের দিয়ে যা পারি ক্লাস করাইছে যদিও বই ছিল না পুরানো বই দিয়ে করাইতে হইছে। ক্লাস ওয়ানের আগের ছাত্র ছাত্রী কিছু ক্লাস টু তে গিয়ে ভর্তি হইছে তাই আমাদের ছাত্র ছাত্রী সংখ্যা কিছু কমেছে। আম্মা অসুস্থ হওয়ার পর থেকে আর আপার মেয়েদের পরীক্ষা থাকায় এই কয়দিন ক্লাস বন্ধ আছে কারন আমি নিজে গিয়ে ক্লাস নেওয়া অই সময় সম্ভব ছিল না তাই তাদের সামনের মাসে বলে দেওয়া ছিল। আর রুমের ভাড়া প্লাস তাদের বেতন আমি আমার কাছে থাকা স্কুলের টাকা থেকে দেওয়া হয়েছে প্লাস সালেহ ভাইএর কাছ থেকে যা ছিল এখন আমার কাছে আছে ২৬০০/= পাওনা। যার হিসাব কাল আবার সালেহ ভাইকে বুঝাই দিব।

 

এবং এখানে বলা হয়েছে সব কিছু ভুলে যেতে। আমি স্কুল নিয়ে কেয়ার করি কিন্তু কোন Individual কে না সে আমাকে যাতা বলে গেছে আমি তা ভুলে যাব। এই ব্যাপার আমি ভুলতে পারব না। স্কুল নিয়ে থাকতে রাজি কিন্তু তোমাদের এই ডিসিশনও নেওয়া উচিত যে সেই মানুষটারে নিয়া তোমরা চলতে চাও না আমাকে সব কিছুর বাইরে রাখতে চাও। অন্য সব কিছুর সাথে এটারো ডিসিশন নাও কারণ আমি সেই মানুষের সাথে স্কুলএর কোন কিছুতে থাকতে পারব না। এটা আমার ইগো না এটা আমার আত্নসম্মানবোধ। কারন এক নাইম ছাড়া কাউরে দেখি নাই এটার প্রতিবাদ করতে বাকিরা চেয়ে চেয়ে দেখছে… সো!

 

বাকি যা বলার আমি কাল মিটিং এ বলব। এইখানে আমি ক্যাচাল পাড়তে চাই না। আমি জাস্ট আমার চিন্তাভাবনাগুলো জানালাম।