12

ভারত-নেপাল যুক্ত ইশতেহার

 

 

 

শিরোনাম সূত্র তারিখ
নেপালে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর শেষে প্রকাশিত ইন্দো-নেপাল যুক্ত ইশতেহার ভারত সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

 

 

নেপালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সরদার শরণ শিং এর  সফর শেষে প্রকাশিত ইন্দোনেপাল যুক্ত ইশতেহার, ৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সরদার শরণ সিং, ৩ থেকে ৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১ নেপালে শুভেচ্ছা সফর করে গেলেন। নেপালের মহামান্য রাষ্ট্রপতির  আমন্ত্রণে। শ্রী পি এন, মেনন, সচিব, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, শ্রী টমাস আব্রাহাম, যুগ্ম-সচিব, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও শ্রী এস ভেংকাটরমণ, আন্ডার সেক্রেটারি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়. তার সাথে ছিলেন।

 

সফরকালে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মহামান্য নেপাল রাজার সাথে বৈঠক করেন। তিনি মাননীয় আর টি শ্রী কীর্তী নিধি বিস্তা, নেপাল সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং এছাড়াও মাননীয় শ্রী গ্যানেন্দ্র বাহাদুর কারকি, শিক্ষা মন্ত্রী, ভূমি সংস্কার, খাদ্য, কৃষি ও বন মন্ত্রী এদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।

 

কাঠমান্ডুতে ভারতের রাষ্ট্রদূত মান্যবর শ্রী এল পি সিং নয়া দিল্লির নেপালের রাষ্ট্রদূত মান্যবর সরদার ভীম বাহাদুর পান্ডে, শ্রী বি আর ভাণ্ডারী, নেপাল সরকারের পররাষ্ট্র সচিব, এবং শ্রী পি এন মেনন, ভারত সরকারের সচিব, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, এই বৈঠকে সহায়তা করেন।

 

প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী গভীর ভাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারত ও নেপালের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেন। তারা তাদের পারস্পরিক সম্মান, এবং আগ্রহ, একে অপরের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও অখণ্ডতা, এবং অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতি পুনর্ব্যক্ত করেন। তারা দু’দেশের বিভিন্ন বিষয়ে জনগণের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে গড়ার উপর জোর দেন এবং তাদের পারস্পরিক সুবিধার জন্য তাদের শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

 

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মহামান্য রাজার বিজ্ঞ পরিচালনায় নেপালের বহুতরফা অগ্রগতির প্রশংসা করেন।

 

মহামান্য নেপালের প্রধানমন্ত্রী নেপালে ভারত সরকার কর্তৃক প্রদত্ত সহায়তার জন্য মহামান্য সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং আশা প্রকাশ করেন যে এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নেপালের প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বাস দেন যে, ভারত সরকার দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার ক্ষেত্র বিস্তীর্ণ করবে এবং তাদের এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

 

দুই মন্ত্রী ট্রেড অ্যান্ড ট্রানজিট এর সদ্য সমাপ্ত চুক্তি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং আশা প্রকাশ করেন যে এতে নেপালে দ্রুত শিল্পায়ন ও বাণিজ্য বহুমুখীকরণ নীতি বাস্তবায়ন হবে।

 

নেপালের প্রধানমন্ত্রী ও ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী আন্তর্জাতিক ইস্যুতে সর্বজনীন শান্তি ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিরাপত্তা এবং বিশ্বের উত্তেজনা কমানোতে একত্রে কাজ করার ইচ্ছা ব্যাক্ত করেন। এর একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হিসেবে জোটনিরপেক্ষ নীতির প্রতি আনুগত্য পুনর্ব্যক্ত করেন।

 

নেপালের প্রধানমন্ত্রী পূর্ব পাকিস্তান থেকে লাখ লাখ শরণার্থী আসায় ভারতে সৃষ্ট সামাজিক ও অর্থনৈতিক কুপ্রভাব দৃষ্টিগোচর করেন। দুই মন্ত্রী তাদের উদ্বাস্তুদের তাদের বাড়িতে ফেরত পাঠানোর জন্য অবস্থার সৃষ্টির জন্য জরুরী প্রয়োজনের উপর একমত প্রকাশ করেন।

 

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ও তার দলকে কাঠমন্ডুতে দেয়া আতিথেয়তা এবং সৌজন্যতার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞ্যাপন করেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী, শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীর পক্ষ থেকে নেপালের প্রধানমন্ত্রীকে সুবিধাজনক সময়ে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানান – যা সাদরে গৃহীত হয়।