13

মানবাধিকার কমিশন প্রতিবেদনের ওপর জাতিসংঘে নিযুক্ত ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি সমর সেনের বিবৃতি

 

শিরোনাম সূত্র তারিখ
জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের সামাজিক সমিতির আলোচ্য সূচী ৫ (ক)ঃ মানবাধিকার কমিশনের প্রতিবেদন- এর উপর জাতিসংঘে নিযুক্ত ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি সমর সেনার বিবৃতি জাতিসংঘ ডকুমেন্টস ১২ মে, ১৯৭১

 

 

জাতিসঙ্ঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের সামাজিক সমিতির আলোচ্য সূচী ৫(ক):মানাবাধিকার কমিশনের প্রতিবেদনের উপর জাতিসঙ্ঘে নিযুক্ত ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি সমর সেনের বিবৃতি।/ সূত্র:জাতিসঙ্ঘ ডকুমেন্টস্ তারিখ/১২ মে,১৯৭১।

 

জনাব চেয়ারম্যান, আমার প্রতিনিধি এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করার জন্য উপযুক্ত মনে করছেন।কমিশনের চলতি রিপোর্ট স্পষ্টভাবে নির্দেশ করে যে,মানবাধিকার রক্ষার সমস্যাটি এখনো একটি গুরুতর বিষয়।প্রকৃতপক্ষে,সাধারণ পরিষদের ২৫তম অধিবেশনে গৃহীত ‘স্মারক ঘোষণা’ররিপোর্টের ৮ নং প্যারায় এ বিষয়ে উদ্বিগ্নতা প্রকাশিত হয়েছে।প্রাসঙ্গিক বাক্য বলা হয়েছে,”যদিও কিছু অগ্রগতি অর্জিত হয়েঝে,তারপরও বিশ্বের বিভিন্ন অংশের ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘন ঘটে চলেছে।এই লঙ্ঘনের প্রতিটি কারণ দূর করার মাধ্যমে,জাতি-বর্ণ-লিঙ্গ-ভাষা-ধর্ম নির্বিশেষে প্রতিটি মানুষের সম্মান বৈশ্বিকভাবে উন্নীত করার মাধ্যমে এবং নির্দিষ্টভাবে চার্টার অনুযায়ী জাতিসঙ্ঘের সকল সুযোগ সুবিধার ব্যাপক ব্যবহার করে সকল মানবাধিকার এবং মানুষের মৌলিক স্বাধীনতা লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে আমাদের চলমান এবং সুনির্দিষ্ট যুদ্ধের অঙ্গীকার করছি।” এই চার্টারের ১(৩),৫৫(গ), এবং ৫৬ নং অনুচ্ছেদে মানবাধিকার সুনিশ্চিত করার জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতার কথা বলা হয়েছে।১৯৬৮ সালে যা মানবাধিকারের জন্য আন্তর্জাতিক বর্ষ হিসেবে ঘোষিত হয়েছিলো,জাতিসঙ্ঘ ‘Human Rights,A Compilation Of International Instruments Of The UN’- শিরোনামে একটি পুস্তিকা প্রকাশ করেছিলো।এই পুস্তিকার শেষ পৃষ্ঠায় মানবাধিকানের বিষয়ে সম্পর্কযুক্ত ৩৪টি উপাদানের একটি তালিকা দেয়া হয়।এছাড়া বিগত ৩ বছরে আরো অনেক দলিল,ঘোষণা,রেজ্যুলুশন গৃহীত হয়েছে।উদাহরণস্বরূপ আমি উল্লেখ করছি ১৯৬৯ সালে গৃহীত সামাজিক অগ্রগতি ও উন্নয়ন ঘোষণা,২৫তম অধিবেশনের ঘোষণা যা ইতোমদ্যে উল্লেখিত,জাতিসঙ্ঘের চার্টার অনুযায়ী রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও সহযোগিতার বিষয়ে আন্তর্জাতিক আইনের মূলনীতি ঘোষণা-এ সবগুলোই মাত্র ৬ মাস আগে গৃহীত হয়েছে।এছাড়াও তেহরান ঘোষণাও প্রাসঙ্গিক।১৯৪১ সালের জেনেভা কনভেনশনও যুদ্ধের সময় সিভিলিয়ানদের রক্ষার সাথে সম্পর্কিত।সশস্ত্রযুদ্ধে মানবাধিকার প্রশ্নে গত বছর সাধারণ পরিষদে চারটি রেজ্যুলুশন গৃহীত হয়-২৬৭৪,২৬৭৫,২৬৭৬,২৬৭৭।ভারত মানবাধিকার কমিশনের সদস্য হয়েছে এবং কমিশন ও জাতিসঙ্ঘের অন্য ফোরামে বৃহৎ ও সংঘটিত উপায়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে তাদের উদ্বিগ্নতা প্রকাশ করেছে।এ বিষয়ে অধিকাংশ উদাহরণ উধৃত করছি-

 

মে,১৯৬৮ সালে তেহরান ঘোষণার ৫ নম্বর প্যারায় বলা হয়েছে- “মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় জাতিসঙ্ঘের প্রাথমিক লক্ষ্য হচ্ছে প্রত্যেকের সবোচ্চ স্বাধীনতা এবং সম্মানের মাধ্যমে তা অর্জন করা।এ বিষয়টি উপলব্ধি করে প্রত্যেক দেশের আইন প্রত্যেকের জন্য জাতি-ধর্ম-বর্ণ-রাজনৈতিক বিশ্বস নির্বিশেষে মত প্রকাশের,তথ্যের,বিবেকের,ধর্মের স্বাধীনতা এবং দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক,সাংস্কৃতিক এবং সামাজিক জীবনে অংশগ্রহণের অধিকার নিশ্চিত করে গৃহীত হওয়া উচিত।” এজন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বিভিন্ন রাষ্ট্রের দায়িত্বের লঙ্ঘনগুলো তদারকি করার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে এবং প্রয়োজনীয় প্রতিষেধকমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে নচেৎ মানবাধিকার এবং মৌলিক স্বাধীনতা সম্বন্ধে আমরা যা বলেছি তা উপহাসে পরিণত হবে।এই দৃষ্টিভঙ্গি জাতিসঙ্ঘের বিভিন্ন ফোরামে প্রকাশিত হয়েছে এবং আমি এটা দেখে খুশি যে পাকিস্তানের প্রসিদ্ধ প্রতিনিধি দূত আগা শাহীকে দেখে যিনি কলোনিয়াল আফ্রিকা এবং প্যালেস্টাইনের মানবাধিকার লঙ্ঘন বিষয়ে সামাজিক কমিটির মিটিঙে ২০মে,১৯৭০ তারিখে বক্তব্য রাখেন- “…সেখানে এমন কিছু পরিস্থিতি হয়েছে যে মারাত্মক পর্যায়ে মানাবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা চলছে যার জন্য নিরীক্ষা,তদন্ত এবং রিপোর্ট প্রদানের জন্য আহ্বান জানাই যদি মানবাধিকার ও মৌলিক অধিকার বিষয়ে জাতিসঙ্ঘের বাধ্যতামূলক দায়িত্বের চরিত্রের তদ্রুপ না হয় তাহলে বিষয়টি উপহাসমূলক এবং একাডেমিক বিতর্কে পরিণত হবে।” এ প্রসঙ্গে এবং গভীর যন্ত্রণার সাথে ভারত সরকার লক্ষাধিক মানুষের ওপর মানবাধিকার লঙ্ঘনের চলমান উদাহরণে আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চায়।আপনাদের নজরে আনার পূর্বে প্রথমেই আমার দেশের দ্রুত মানবিক সাহায্যের প্রয়োজন এই লক্ষাদিক মানুষের জন্য যারা ক্রমবর্ধমান শরাণার্থী হিসেবে ভারতে প্রবেশ করছে।এই সমস্যাটি এমন অনুপাতে বেড়েছে এবং এই মানুষগুলোর দূর্দশা এতবেশি যে তা আন্তর্জাতিক উদ্বেগের বিষয় না হলে উপায় নেই।এই মর্মান্তিক মানবিক সমস্যা বুঝতে হলে এর কারণগুলো ব্যাখ্যা করা প্রয়োজন।এটি বিশ্ব সম্প্রদায়কে যে পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে তার তারিফ করতে এবং যদি দূর করা নাও যায় অন্তত এই লক্ষাধিক মানুষের দূর্দশা কমানোর জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সম্ভবপর করবে। পাকিস্তান সরকার মানবাধিকার বিষয়ে অধিকাংশ ঘোষণা,রেজ্যুলুশন এবং কনভেনশন গ্রহণ অথবা সমর্থন করেছে এবং এটা অবশ্যই বিশ্ব সম্প্রদায়ের গভীর উদ্বেগের বিষয় যে সাম্প্রতিক সপ্তাহে এই আন্তর্জাতিক দায়িত্বগুলো ছিন্ন করে পূর্ব বাংলা ভয়াবহ সামরিক আক্রমণ চালানো হচ্ছে।এই অবস্থায় যে দূর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতি সেখানে চলছে এর গভীরতা ও ব্যাপকতা বিশ্লেষণ করার কোনো প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না।কারণগুলো সুপরিচিত এবং প্রকৃতপক্ষে বছরের পর বছর ধরে চলে আসা দূর্দশা-বৈষম্য এবং পুঞ্জীভূত হতাশা থেকে তাদের এই মর্মান্তিক পরিস্থিতির সৃষ্টি।

এই হতাশা এবং অবিচার যা তাদের দ্বারা সংঘটিত তা সকল দলিলের লঙ্ঘন করতে পারে।পূর্ব বাংলায় এই ঘৃণ্য কর্মকাণ্ড আমি উধৃত করছি।এ বছর মার্চের শেষ দিকে আমাদের আশা ছিলো পূর্ব বাংলার মানুষের স্বাধীন ইচ্ছার প্রকাশকে বিবেচনা করে এই মনুষ্যসৃষ্ট সমস্যা দূর করা হবে।কিন্তু সমগ্র গণতান্ত্রিক পদ্ধতি পাল্টে গেল এবং সকল রাজনৈতিক কর্মকাণাড অপনোদন করতে সামরিক বাহিনী নামানো হয়।একটি সম্প্রচারিত বিবৃতিতে ২৬মার্চ পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট বলেন- “আমি সারাদেশের সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।এজন্য আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক দল হিসেবে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হলো।আমি সংবাদমাধ্যমে সম্পূর্ণ সেন্সরশিপ প্রদানের সিদ্দান্ত নিয়েছি।এই সিদ্ধান্ন্ত বাস্তবায়নের জন্য মার্শাল ল’ এর আওয়াতধীন করে ইস্যু করা হলো।” এ প্রসঙ্গে আমি কমিটির দৃষ্টি আকর্সণ করতে চাই মানবাধিকার ঘোষণার প্রতি যা পাকিস্তান কর্তৃক সম্পূর্ণ গৃহীত তার তিন নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে- “প্রত্যেকের বাঁচার,স্বাধীনতার এবং নিরাপত্তার অধিকার আছে।”৫ নম্বর অনুচ্ছেদে আছে-“কাউকে নির্যাতন,নির্মম অত্যাচার,অমানবিক বা দমনমূলক শাস্ত দেয়া যাবে না।”আন্তর্জাতিকক সংবাদমাধ্যমে যে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে তাতে পরিশেষে এটাই প্রমাণিত হয় যে সকল অধিকারকে বিদ্রুপ করা হয়েছে।অনুচ্ছেদ-৭,৮,৯,১২,১৩,১৭,১৮,১৯,২০,২১ ও একই ভাবে লঙ্ঘন করা হয়েছে।জনাব চেয়ার ম্যান মানাবাধিকার বিষয়ক যেকোনো দলিল নির্বাচন করুন,যেখানে পাকিস্তানের সমর্থন আছে বিভিন্ন মাত্রায় এবং কোনো বিতর্ক ছাড়াই বলা যায় যে সকল মূলনীতি ভাঙা হয়েছে। বিভিন্ন জাতি এবং সাস্কৃতিক পরিমণ্ডলের পূর্ব বাংলার মানুষের জীবন ও সম্পদের উপর নির্মম ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে পশ্চিম পাকিস্তানী আর্মিরা যা ৯ ডিসেম্বর ১৯৪৮ এ প্রস্তাবিত ও স্বাক্ষরিত কনভেশনের ২ নম্বর অনুচ্ছেদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।(Resolution 260A(III))।পাকিস্তান কনভেনশনের সদস্য।অনুরূপভাবে ঘোষিত মার্শাল ল’ অার সাথে মৃত্যু পরোয়ানাদিয়েছে যা জাতিসঙ্ঘ কর্তৃক মৌলিক বলে স্বীকৃত সেসব স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে দমন করা হচ্ছে। ১২ অাগস্ট,১৯৬৯এ জেনেভা কনভেশনের ৩ নম্বর আর্টিকেল যা সিভিলিয়ানদের যুদ্ধাবস্থায় নিরাপত্তার কথা উল্লেখ করে তাও এখানে মানা হয় নি।এটি সুনির্দিষ্টভাবে প্রতিটি মানুষের জীবনহানি,হত্যাকাণ্ড,অঙ্গহানি,নিষ্ঠুর কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে অমানবিক ও দমনমূলক পন্থা অসম্মানজনক আচরণের মাধ্যমে অত্যাচার নিষেধ করা হয়েছে।একটি সাংবিধানিক আদালত যা সকল বিচারিক নিশ্চয়তা প্রদানে সমর্থ হয় যেটি সিভিলিয়ানদের জন্য অপরিহার্য-তার আদেশ ছাড়া কোনো ফাঁসির হুকুম এবং কার্যকর করার বিধান লঙ্ঘন করা হয়েছে।এটা খুব আশ্চর্যের বিষয় যে,পাকিস্তান সরকার এ বিষয়ে ইন্টারন্যাশনাল কমিশন অব জুরিস্টের আপীল/অনুরোধ/আহ্বান নূন্যতম গুরুত্বই দেয় নি।আমি তাদের টেলিগ্রমাটি পড়তে চাই।২ এপ্রিল,১৯৭১ টেলিগ্রামে বলা হয়েছে-

“ইন্টারন্যাশনাল কমিশন অব জুরিস্ট পূর্ব পাকিস্তানের মর্মান্তিক ঘটনাপ্রবাহে গভীেভাবে উদ্বগ্ন।মৃত্যুহার কমানো এবং রাজনৈতিত বন্দীদের বিচারে আইনের সঠিক ও সংযমী ব্যবহার করার সম্ভবপর সব চেষ্টা গ্রহণের অনুরোধ করা হচ্ছে।” ১৫ এপ্রিলের টেলিগ্রামে বলা হয়েছে- “২রা এপ্রিলের টেলিগ্রামের পর ইন্টারন্যাশনাল কমিশন অব জুরিস্ট আওয়ামী লীগ নেতাদের বিচারের জন্য বিশেষ সামরিক ট্রাইবুনাল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগের রিপোর্টে দুঃখ প্রকাশ করছে।সম্মানের সাথে জানানো হচ্ছে যে সাধারণ সিভিল আদালত একই আন্তর্জাতিক মতামত সন্তুষ্ট করতে পারবে যার আইনের ধারা নিরীক্ষত।” রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে কথিত অপরাধের বিচারে ইন্টারন্যাশনাল কমিশন অব জুরিস্ট সবসময়ই পৃথক বিশেষ সামরিক ট্রাইবুনাল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ বর্জন করেছে।রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে বিশেষ সামরিক ট্রাইবুনালের মাধ্যমে নিন্দিত করে গুপ্তহত্যাকে আইনত বৈধতার আভাস দেয়ার চেয়ে সহজ কিছু নেই।সেখানে নেই স্বাধীনতা কিয়বা সাংবিধানিক বিচার ব্যবস্থার আইনগত নীতি ও প্রশিক্ষিত বিচারক।যদি শেখ মুজিবুর রহমান বা অন্য আওয়ামীগ নেতারা কোনো রাজনৈতিক অপরাধ সংঘটন করেও থাকেন তাঁদের আন্তর্জাতিকভাবে সম্মানিত দেশের সাভিলিয়ান আদালতের মুখোমুখি না করার কোনো কারণ নেই। এ অবস্থায় আমাদের আন্তর্জাতিক মতামত বিবেচনা করতে হবে যা ইতোমধ্যেই শঙ্কিত এবং ধাক্কা খেয়েছে।এই কমিটির মাধ্যমে কোনো অনিশ্চয়তা প্রকাষ করা উচিত হবে না যেহেতু অর্থনৈতিক এবং সামাজিক পরিষদ জাতিসঙ্ঘের সম্পূর্ণ সাংবিধানিক অঙ্গ যা মানবাধিকান ও মৌলিক স্বাধীনতা সম্পর্কে সচেতন।ভয়াবহ ম্যাসাকার,নারী ও শিশুসহ নিরস্ত্ সাধারণ মমানুষকে ননির্বিচারে হত্যা,নৃশংসতা ও নির্মমতা,ব্যাপক হারে ব্যক্তিসম্পদে অগ্নিসংযোগ ও ধ্বংস সাধন,পূর্ব বাংলার মানুষের ওপর আক্রমণ ম-এমন মাতায় বেড়েছে যে এখন বিশ্ব বিবেকের অবশ্যই প্রজ্বলিত হওয়া উচিত এবং আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা থাকা উচিত দুনিয়ার একটা অংশে সভ্যতার অস্তিত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠায়। ***************************************************************